শিরোনাম
Passenger Voice | ০২:০৫ পিএম, ২০২৩-১২-১০
ঢাকা-নিউ ইয়র্ক ফ্লাইট চালু করা নিয়ে শুরু হয়েছে অনিশ্চয়তা। চলতি বছর নয়, ফ্লাইট চালুর লক্ষ্য এখন আগামী বছর। তবে নেই পর্যাপ্ত উড়োজাহাজ। সেই সঙ্গে লোকসানের স্পষ্ট হিসাবও রয়েছে। তবুও নিউ ইয়র্কে ফ্লাইট পরিচালনা করতে চায় বাংলাদেশ বিমান।
১৯৯৬ সালে লোকসানের কারণেই ঢাকা-নিউ ইয়র্ক রুটে বিমানের ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায়। ১০ বছর পর ২০০৬ সালে আবার এ রুটে ফ্লাইট চালু হলেও টিকতে পারেনি বিমান। তারও ১৭ বছর পর এবার কোমর বেঁধেই নেমেছে বিমান ও সিভিল এভিয়েশন। কিন্তু ফ্লাইট পরিচালনায় অনুমতির শর্ত পূরণে কতটা এগুতে পারছে সংস্থা দুটি - তা নিয়ে চলছে রশি টানাটানি।
তথ্য অনুযায়ী, তৃতীয় দফায় ফ্লাইট পরিচালনায় ফেডারেল এভিয়েশন অথরিটির (এফএএ) কাছে গত মে মাসে আবেদন করেছে বিমান। তবে মুনাফা পেতে নয়, এভিয়েশন খাতে সুনাম বাড়াতেই নিউ ইয়র্কে ডানা মেলার লক্ষ্য বিমানের। পাশাপাশি অনুমোদনের বাকি দায় সিভিল এভিয়েশনের বলেও জানায় বিমান।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. শফিউল আজিম বলেন, ‘আমরা তাদের চাওয়া প্রায় ১৬৯টি কমপ্লায়েন্সের সবই মেনে নিয়েছি। এফএএ আমাদের বিমান বন্দরের সক্ষমতা দেখবে।’
এদিকে, ফ্লাইট পরিচালনার নতুন শর্তে শাহজালাল বিমানবন্দরকে ক্যাটাগরি-১-এ উন্নীত করা এবং নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সিভিল এভিয়েশনকে কাজ করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে বোয়িং কোম্পানিও। তবে বিমানের ডানা মেলার লক্ষ্য চলতি বছরের অক্টোবরে থাকলেও রসায়ন মেলেনি এফএএ ও সিভিল এভিয়েশনের। তবে এ প্রসঙ্গে সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমানের মন্তব্য, বিমানের কারণেই তাদের নতুন করে কাজ করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিমান আগে ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট পরিচালনা করত। কিন্তু এটি যেহেতু বিমান বন্ধ করে রেখেছে, সেহেতু তাদের কারণেই আজ আবার সেটি চালু করতে যেতে হচ্ছে। তবে আমরা যেহেতু প্রক্রিয়া শুরু করেছি, সেটি এখন ভালো গতিতে এগুচ্ছে।
বিমানের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা-নিউ ইয়র্ক রুট থেকে সপ্তাহে মোট রাজস্ব আয় হবে ২১ লাখ ১৭ হাজার ২৩৫ ডলার। বিপরীতে ব্যয় হবে ৩১ লাখ ৪১ হাজার ২৪ ডলার। অর্থাৎ, এতে প্রতি সপ্তাহে বিমানের লোকসান হবে ১০ লাখ ২৩ হাজার ৭৮৯ ডলার বা প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা।
এমন অবস্থায় লাভজনকভাবে ফ্লাইট পরিচালনার পরামর্শ খাত সংশ্লিষ্টদের। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, আমি ফ্লাইট পরিচালনার জন্য একটি রুটে ফ্লাইট চালু করবো, এটি কোনো বাণিজ্যিক এয়ারলাইনসের গুরুত্বের জায়গা হতে পারে না। কারণ যে কোনো বাণিজ্যিক এয়ারলাইনসকে বাণিজ্যিক দিক বিচার-বিবেচনা করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হয়। কাজেই আমি বিমানকে অনুরোধ করবো যে, তাদের আগে ঢাকা-নিউ ইয়র্ক রুট পরীক্ষা করা উচিত।
অনুমোদন পাওয়ার পর লোকসানে বিমান পরিচালনা করলেও শুধু ঢাকা-নিউ ইয়র্ক রুটেই বছরে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বাংলাদেশ বিমানকে জরিমানা গুনতে হবে।সূত্র: সময়
প্যা/ভ/ম
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2024 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.
পাবলিক মতামত